নিজের স্ত্রী সন্তান রেখে ছেলের অন্তঃসত্বা বউকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করলেন বাবর আলী নামে এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নে। প্রায় ১ বছর আগে বিয়ে হয় বাবর আলীর ছেলে ইউসুফ আলীর সঙ্গে জাবড়ি কাজিপাড়া গ্রামের মৃত জোবদুল হক জোবুর মেয়ে সাথী খাতুনের সাথে। বিয়ের পর থেকেই পূত্রবধূর দিকে কুনজর পড়ে শ্বশুরের।পরে পূত্রবধূর সাথে জমে উঠে শ্বশুরের প্রেম।
চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় শ্বশুরের সাথে নিজ পূত্রবধুর জোরপূর্বক বিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ধাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান আ.ক.ম তাবারিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে। অন্তঃসত্ত্বা পূত্রবধূ সাথী বেগমের সাথে শ্বশুর বাবর আলীর অবৈধ সম্পর্কের ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়। বিষয়টি এলাকায় স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য ২২ জুন সারারাত ১৪নং ধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে ঘটনার সাথে জড়িত পূত্রবধূ ও শ্বশুরকে আটকে রাখে চেয়ারম্যান তাবারিয়া চৌধুরী।
তবে বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধান না করে উল্টো ভুক্তভোগী পরিবারটির কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন এই চেয়ারম্যান।চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জোরপূর্বক সেই শালিসে বাবর আলীকে দিয়ে স্ত্রী তিন সন্তানের জননী নাসীমা বেগমকে তালাক দেয়া হয়। এরপর ছেলে ইউসুফ আলীকে দিয়ে স্ত্রী সাথী বেগমকে তালাক দিতে বাধ্য করা হয়।
সে সময় দেড় লাখ টাকা দেন মোহরে পূত্রবধূ সাথীর সঙ্গে শ্বশুর বাবর আলীর জোরপূর্বক বিয়ে পড়ান চেয়ারম্যান তাবারিয়া।চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তালাক ও বিয়ের কাজটি সম্পূর্ণ করেন একই ইউনিয়ের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) আনারুল ইসলাম। এর সার্বিক সহযোগিতা করেন অত্র ইউনিয়ন পরিষদের কাম কম্পিউটার অপারেটর সেতাউর রহমান।
পরে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বেই দুই ইউপি সদস্য আব্দুস সোবহান ও হোসেন আলী শালিসে উপস্থিত সকলের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন বলে জানান বাবরের স্ত্রী নাসিমা বেগম ও এলাকাবাসী।এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান তাবারিয়া চৌধুরীর কাছে চাঁদা দাবীর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন কিন্তু বিয়ে পড়ানোর বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। তবে পরিষদে তাদের আটকে রেখে তালাক সম্পন্ন করা হয়েছিল বলে তিনি নিশ্চিত করেন।